Pages

Tuesday, December 18, 2012


চাঁদে শেষ ঠাঁই মিলল দুই নভোযানের

 

  • গ্রেইল প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি চাঁদের মহাকর্ষ মানচিত্র গ্রেইল প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি চাঁদের মহাকর্ষ মানচিত্র
  • শিল্পীর দৃষ্টিতে চাঁদের বুকে মহাকাশযানের আত্মাহুতি শিল্পীর দৃষ্টিতে চাঁদের বুকে মহাকাশযানের আত্মাহুতি
গতকাল সোমবার চাঁদের বুকে আত্মাহুতি দিল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার পাঠানো দুই নভোযান। ‘গ্র্যাভিটি রিকভারি অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ল্যাবরেটরি’ বা গ্রেইল প্রকল্পের দুটি মহাকাশযান এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চাঁদের মাটির নিচের তথ্য অনুসন্ধান করছিল। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এ প্রসঙ্গে গত বৃহস্পতিবার নাসার গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, ১৭ ডিসেম্বর ‘এব’ ও ‘ফ্লে’ নামের মহাকাশযান দুটি ধ্বংস করে ফেলা হবে। মহাকাশযান দুটি চাঁদের উত্তর মেরুর পার্বত্যাঞ্চলে অবস্থিত গোল্ডস্মিড কার্টারের কাছাকাছি কোথাও পড়তে পারে। চাঁদে থাকা অ্যাপোলো ও অন্যান্য অভিযানের স্মারকের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সে জন্য মহাকাশযান ধ্বংসের এলাকা হিসেবে মেরু অঞ্চলটিকে বেছে নিয়েছিলেন নাসার গবেষকেরা।
গবেষকেরা নভোযান ধ্বংসের এ এলাকাটির নাম রেখেছেন ‘স্যালি রাইড’। গ্রাইল প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নারী মহাকাশচারী স্যালি রাইডের নাম অনুসারে এ নামকরণ করা হয়েছে।
নাসার গবেষকেরা জানিয়েছেন, ছোট ওয়াশিং মেশিন আকৃতির ‘গ্রেইল’ প্রকল্পের ওই দুটি যমজ মহাকাশযান চাঁদের কাছাকাছি অবস্থান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করছিল।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গবেষক ডেভিড লেহম্যান জানান, এক বছর কাজ করার পর মহাকাশযান দুটির জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় চন্দ্র পৃষ্ঠের মাত্র সাত মাইল ওপর দিয়ে ভ্রমণ করছিল নভোযান দুটি। এক বছর ধরে যমজ এ যান দুটি চাঁদের মহাকর্ষ মানচিত্র তৈরির জন্য উপগ্রহটির খুব কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিল। শুক্রবার থেকে মহাকাশযান দুটির বৈজ্ঞানিক কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, গ্রেইল প্রকল্প থেকে তাঁরা উল্লেখযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এ দুটি মহাকাশযান পাঠানো হয়েছিল। মার্চ মাস থেকে চাঁদের মহাকর্ষ মানচিত্র তৈরিতে কাজ শুরু করে ‘এব’ ও ‘ফ্লে’।

http://allearninginformationbd.blogspot.com/

 

No comments:

Post a Comment