Pages

Wednesday, December 19, 2012

বৃহস্পতির ইউরোপায় যাবে নভোযান

বৃহস্পতির ইউরোপায় যাবে নভোযান

 

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার মহাকাশযানের পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে বৃহস্পতির চতুর্থ বৃহত্তম উপগ্রহ ইউরোপা। ২০২১ সাল নাগাদ ইউরোপাতে নভোযান পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন গবেষকেরা। গতকাল সোমবার নাসার প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় ইউরোপায় অভিযান বিষয়ে ইতিবাচক সম্মতি দিয়েছেন গবেষকেরা। খবর প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গবেষকে ডেভিড সেনসকি জানিয়েছেন, বৃহস্পতির এ উপগ্রহটি পর্যবেক্ষণের জন্য ২০০ কোটি মার্কির ডলার ব্যয়ে মনুষ্যবিহীন ইউরোপা ক্লিপার তৈরি করার বিষয়ে গবেষকেরা সম্মত হয়েছেন। ২০২১ সাল নাগাদ এ ক্লিপার ইউরোপার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
গবেষকেরা জানান, পুরু বরফের আস্তরণযুক্ত বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপা পৃথিবীর চাঁদের তুলনায় আকারে খানিকটা ছোট। কিন্তু এখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে গবেষকেরা ধারণা করছেন। এ কারণেই মঙ্গল গবেষণার পর বিজ্ঞানীদের পরবর্তী গন্তব্য ঠিক হয়েছে বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপায়।
নাসার গবেষক স্টিভ স্কুয়েরস জানিয়েছেন, ইউরোপার পুরু বরফের আস্তরণের নিচে যে বিশাল সমুদ্র রয়েছে, তা প্রাণ ধারণের উপযোগী হতে পারে। তাই ভবিষ্যতে নাসার গবেষকদের গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপা। বরফ সমুদ্রের আস্তরণে ঘেরা ইউরোপার বরফের নিচেই হয়তো দেখা মিলতে পারে কোনো প্রাণীর। স্কুয়েরেসের মতে, ‘ইউরোপা হচ্ছে চমত্কার গন্তব্য। এটিই হতে পারে ভিনগ্রহ বাসী খুঁজে পাবার ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় অভিযান।’
কেবল স্কুয়েরেস একা নন, অন্য বিজ্ঞানীরাও ইউরোপাকে সম্ভাবনাময় একটি অঞ্চল হিসেবেই দেখছেন। বিজ্ঞানীদের ধারণা পৃথিবীর বাইরে একমাত্র ইউরোপার সৌরমণ্ডলে প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। যদিও ইউরোপা পৃথিবীর চাঁদের চেয়েও আকারে ছোট; তার পরও বরফের নিচের বিশাল সমুদ্রে প্রাণের উদ্ভব ঘটতে পারে। পানি ও সৌরশক্তি পৃথিবীতে প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করেছে। ইউরোপাতেও এ দুটি উপাদান রয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্রের তলদেশে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাতের ফলে সৃষ্ট গুহা ও গরম পানির উত্স রয়েছে; সেখানে এমন ইকোসিস্টেম তৈরি হয়েছে যাতে প্রাণের উদ্ভব সম্ভব। পৃথিবীতেও এ রকমই ঘটেছিল।
http://allearninginformationbd.blogspot.com/

 

No comments:

Post a Comment