Pages

Wednesday, December 19, 2012

দূরারোগ্য সি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে

কোনো ওষুধেই কাজ হয়না, এমন একটি রোগ ‘সি ডিফিসাইল’। যুক্তরাজ্যের স্টোক ম্যান্ডেভিল হাসপাতালে ২০০৩ এবং ২০০৬ সালে সি ডিভিসাইলের সংক্রামণে ৩০ জন রোগী মারা গিয়েছিল। বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এ রোগের প্রাদুর্ভাব। মারা যাচ্ছে বহু মানুষ। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণুটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কোনোভাবেই। খবর গর্ডিয়ান-এর।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এ রোগের সংক্রামণ বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যুক্তরাজ্যের গবেষকরা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনেটিক টেকনিক ব্যবহার করে ক্লসটিডিয়াম ডিফিসাইলস রোগের কারণ জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ও আটলান্টিক পেরিয়ে এটি ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে। মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া এ রোগের চিকিৎসায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন  এন্টিবায়োটিক কোনো ভ‚মিকা রাখতে সক্ষম নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর দেহে সাধারণ মাত্রায় এ রোগের জীবাণু পাওয়া গেলে তাদের চিকিৎসা করতে গিয়েও বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসকরা। এতে তাদের অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তাদের মধ্যে দেহে টক্সিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়াসহ ডায়রিয়া ও অন্যান্য রোগে সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

গত বছর সি ডিফিসাইলের ফলে যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ২ হাজার রোগী মারা গিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে এ মাত্রা আরও ভয়াবহ। এ রোগের সংক্রমণে সেখানে মারা গেছেন ১৪ হাজার মানুষ।

রোগটি সম্পর্কে জার্নাল রিসার্চ জেনেটিকস জার্নালে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। এতে কিভাবে রোগটির সংক্রামণ ঘটছে তা প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞানিরা ১৯৮৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত ১৯ টি দেশের রোগীর দেহে ১৫১ ধরণের জীবাণুর সন্ধান পেয়েছেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রোগীদের দেহে ১৪৫ ধরনের জীবাণু পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়।

কয়েক বছরের মধ্যে রোগটির প্রতিরোধক আবিষ্কার করতে পারার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিভাবে বিভিন্ন সেলে রোগটির বিস্তার হচ্ছে, তা নিয়ে গবেষণায় অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
http://allearninginformationbd.blogspot.com/

No comments:

Post a Comment